সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

Santragachi rashnari historical place

 সাঁতরাগাছির রাধাকৃষ্ণ মন্দির


 হাওড়া সাঁতরাগাছি র চক্রবেরিয়া অঞ্চলে মহেন্দ্র ভট্টাচার্য রোডের প্রোথনাথ ঘোষের ২৬৭টি মন্দির,ছিল, যা আজ বিলুপ্ত। প্রোথ নাথ ঘোষদেরই আদি ভিটেতেই।যা স্থানীয়রা এই বাড়িটিকে রাসবাড়ি বলে। মন্দিরটি মূলত একটি নাট মন্দির সহ একটি রাধাকৃষ্ণ র ঘর। ভগবান কৃষ্ণর মুর্তিটি কষ্টিপাথরের ও রাধা মূর্তিটি অষ্টধাতুর দ্বারা নির্মিত।মন্দিরের পাশেই একটি তুলসীমঞ্চ রয়েছে। এছাড়া পাশেই সুন্দর একটি দুতলা রাসমঞ্চ রয়েছে। রাস উৎসব এখানকার বড় উৎসব। সবচেয়ে আকর্ষন হলো চারদিন ব্যাপি পুতুল নাচ,যা সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া অন্যান্য উৎসবগুলি হলো  স্নানযাত্রা, রথুৎসব, ঝুলনযাত্রা, জন্মাষ্টমী, অনাকুট ও দোলযাত্রা।

জন্মাষ্টমীর দিন সন্ধ্যায় পালা গানও হয়।এই দিনে চারবার ভগবান রাধাকৃষ্ণ কে খেতে দেয়।যা ভোরবেলায় সন্ধ্যা আরতির সময় মাখন ও সাদা শিলা (মুড়ি), দুপুরে ভাত, ডাল, ভাজা, তরকারি। এছাড়া চল ভিত্তিক পুডিংও দেওয়া হয়। সন্ধ্যায় লুচি, সুজি এবং রাতে সাড়ে আটটায় দূধ দেয়।

এখানে একটি নহবতখানা ছিল, যা আজ বিলুপ্ত। আজ থেকে দু- তিন মাস আগে ভেঙে ফেলা হয়েছে। আমার কাছে তার একটি ইট রয়েছে।

রথযাত্রা র রথটিও পাশের একটি সেডের তলায় থাকে। রথটি বর্তমানে ১৯২৪ সালে চার হাজার সাত শ টাকায় তৈরি করা হয়।



(যোগাযোগ:- হাওড়া থেকে রামরাজাতলা গামী 52 নম্বর ও আমতলা ওপি টু শ্যামবাজার মিনিবাস এ রাস বাড়ি স্টপেজে নেমে, ডান দিকে। এবং দ্বিতীয় হুগলি সেতুর সাঁতরাগাছি গামী বাসে বেলেপোলে নেমে টো টো য় রাস বাড়ি ও কদমতলা গামী বাসে নতুন রাস্তা য় নেমে টো টো করে রাস বাড়ি এছাড়া বালি সেতুর বাসে ধুলাগড় গামিবাসে বাঁকরা য় নেমে বা বারাসাত টু টিকিয়াপারা য় বাসে করে নতুন রাস্তায় নেমে টো টো করে রাস বাড়ি, )

তথ্য:- (১) হাওড়ার ইতিহাস
          (২) হাওড়া জেলার ইতিহাস

                                                                                                  প্রবন্ধকার:- সায়ন দাস

                                                                            (ইতিহাস ও সাহিত্য বিষয়ে এম. এ এবং নাট্যানিক)

                                                                                      ই মেইল:- sayandas2159@gmail.com

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

Krishna Igor sahitya sova

                                                           কৃষ্ণনগরের সাহিত্য সভা বাংলার মুসমানদের যুগের শেষের দিকে কৃষ্ণনগরের যুগ শুরু। এর প্রাচীন নাম ছিল "রেউই"। রাজা রাঘব মাটিয়ারি থেকে রেউই গ্রামে রাজধানী স্থানান্তরিত করেন। রাজা রাঘবের পুত্র রাজা রুদ্র রায়ের (খ্রি:-১৬৮৩-১৬৯৪) সময় থেকে কৃষ্ণনগরের উন্নতির ইতিহাস শুরু। রাজা রুদ্র রায় রেউই নাম পরিবর্তন করে "কৃষ্ণনগর" নাম রাখেন (১৬৮৯ খ্রি:)। রাজা রুদ্র রায়ের সময়ে প্রচুর গোপ বাস করত। তারা সকলেই ভগবান শ্রী কৃষ্ণের উপাসক ছিল। রাজা রুদ্র রায় সে কারণে কৃষ্ণনগর নামকরণ করেছিলেন। রাজা রুদ্র রায়ের মৃত্যুর পর রামজীবন রাজা হয়। রাজা রামজীবন এর মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র রঘুরাম ও তাঁর পুত্র কৃষ্ণচন্দ্র রাজা (খ্রি:-১৭২৮)হন। তাঁর রাজত্বকালে (১৭২৮-১৭৮২খ্রি:) কৃষ্ণনগরের প্রকৃত উন্নতি ঘটে। তাঁর গৌরবময় চরম শিখরে উন্নতি হয়, যা বাংলার গৌরবের বিষয় হয়ে দাড়ায়। তৎকালীন বঙ্গদেশে যে কয়েকটি বিখ্যাত রাজসভাছিল তা...
☯মেসোপটেমিয়া সম্পাদনায় হিজড়াদের ইতিহাস☯ ▪▪▪▪▪▪▪▪▪▪▪▪▪▪▪ "হিজড়া" শব্দটি একটি উর্দু শব্দ, যা সেমেটিক আরবি ধাতুমূল হিজর থেকে "গোত্র হতে পরিত্যাক্ত" অর্থে এসেছে এবং পরবর্তীতে তা হিন্দি ভাষায় বিদেশী শব্দ হিসেবে প্রবেশ করেছে। শব্দটির ভারতীয় ব্যবহারকে প্রথাগতভাবে ইংরেজিতে "ইউনাক" (Eunuch, অর্থঃ খোজা) বা "হারমাফ্রোডাইট" (hermaphrodite, অর্থঃ উভলিঙ্গ) হিসেবে অনুবাদ করা হয়। মেসোপটেমিয়ার পৌরাণিক কাহিনীতে মানবতার প্রাথমিক লিখিত রেকর্ডগুলির মধ্যে এমন ধরনের রেফারেন্স রয়েছে যা পুরুষও নয় এবং নারীও নয়। দ্বিতীয় সহস্রাব্দের একটি প্রস্তর ট্যাবলেট পাওয়া সুমেরীয় সৃষ্টি কাহিনীতে, দেবী নিনমা এমন ফ্যাশন করেছিলেন যেখানে "কোন পুরুষ অঙ্গ এবং কোন মহিলা অঙ্গ ছিলনা" যার জন্য Enki সমাজে একটি অবস্থান খুঁজে পেয়েছিল: "রাজার আগে দাঁড়ানো"। অ্যাট্রা-হাসিস (খ্রিস্টপূর্ব ১৭০০ খ্রিস্টাব্দ) এর আক্কাডিয়ান পুরাণে, পুরুষ এবং নারীদের পাশাপাশি "জনসাধারণের মধ্যে তৃতীয় শ্রেণি" প্রতিষ্ঠা করার জন্য এনকি, জন্মের দেবী নিন্তুকে উপদেশ দেয়, তাছাড়া ...
আজকের বাংলা চলচ্চিত্র কোন পথে হাঁটছে?                     আমাদের চলচ্চিত্র কি ছিল? কোন দিকে এগোচ্ছে বাংলা চলচ্চিত্র? এক কথায় বলাই যায়, ছিল ত বহু কিছু, তবে এখন দ্রুত প্রসারে মহাপতনের দিকে এগোচ্ছে। তবে এই লক্ষনটি ভালো। বাঙালির পিঠ দেওয়ালে না ঠেকলে বাঙালি ঘুরে দাঁড়ায় না। আমাদের কোনো সংগ্ৰামী-ই রক্ত ছাড়া হয় না। স্বাধীধতা সংগ্ৰাম থেকে দেশভাগ, মুক্তি যুদ্ধ বা ভাষা আন্দোলন সবেতেই রক্তক্ষয় হয়ে এসেছে। তেমনি চলচ্চিত্র শিল্পেও রক্তক্ষরনটা জরুরী।                                          কলকাতা ও ঢাকার বড় বড় বাজেটের ছবি সুন্দর ছবিগুলোও মুখ থুবড়ে পড়ছে। কিছু কিছু স্বার্থলোভী চলচ্চিত্র ব্যাবসায়ী দুটো পয়সার চটজলদি আয়ের জন্য টেলিভিশনের চ্যানেলগুলোকে বিক্রি করে দিচ্ছে। তাছাড়া ইংরেজি ভাষী বাঙালি মায়েরা ছেলেমেয়েদের বাংলা ভাষা না শিখিয়ে, বাংলা আমাদের মাতৃভাষাকে দূরেয়সরিয়ে রাখার জন্য বাংলা সিনেমার অবনতি ঘটছে। ফলে ঢাকা ও কলকাতা দুই শহরেরই সিনেমায় ধ্বস ...